ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আ.লীগ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যায়: খন্দকার মোশাররফ

খন্দকার মোশাররফ হোসেন
ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ৫০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আওয়ামী লীগ আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যায়। এ জন্য বিএনপি যখন প্রকৃত সত্যগুলো তুলে ধরছে, তখন আওয়ামী লীগের সহ্য হচ্ছে না।

আজ সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও তথ্য তুলে ধরছি। তাতে আমরা দেখছি, যাঁরা এখন সরকারে আছেন, তাঁরা নানাভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে ইতিহাসকে খণ্ডিত করছেন, ইতিহাসকে বিকৃত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বলতে গেলে সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে, তৎ​কালীন মেজর জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেউ লিখতে পারবে না। আমরা ইতিমধ্যে বক্তব্য রেখেছি যে বাংলাদেশে কোনো একজন সেনা অফিসার পাকিস্তানের ছাউনি থেকে প্রথম রিভোল্ট করেছেন, তাঁর নাম অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জিয়াউর রহমান।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ থেকে স্বাধীনতার ৫০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস যদি আমরা পর্যালোচনা করি, সেখানে আওয়ামী লীগ আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যায়। সেখানে বিএনপির সব ক্ষেত্রে সফলতা। যেমন স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকে কারা হত্যা করেছেন? আজ যারা ক্ষমতায়, ’৭৫ সালে বাকশাল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। আবার কে এই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন? যিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, সেই জিয়াউর রহমান। আবার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। খালেদা জিয়া আপসহীন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এই যে ইতিহাস, তাতে প্রতিটি জায়গায় আওয়ামী লীগ পেছনে পড়ে যায়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল করলে তা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং এই সরকার যে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশ্বাস করে না, সেটাই প্রমাণিত হবে। তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কোনো এখতিয়ার নেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির কর্মসূচি তুলে ধরেন কমিটির সদস্যসচিব আবদুল হাই শিকদার।