ঈশ্বরদীতে আ. লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা-ফাঁকা গুলি

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি চালানো ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে
সংগৃহীত

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলা ও সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১২টার দিকে কার্যালয় দুটি জনশূন্য ছিল। এ সময় মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে যায়। তাঁরা ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকলে কার্যালয়ের আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে তারা কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রাত ৩টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। পরে পুলিশ গেলে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, একটি মহল নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তবে তাঁরা সজাগ আছেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি চালানো ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে
প্রথম আলো


ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্যর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৭টি গুলির খোসা পাওয়া গেছে। কে বা কারা এ হামলাগুলোর সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।
পাবনা-৪ আসনে ২৬ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।