এক প্রার্থীর নামে অন্য প্রার্থীর এজেন্ট!

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র
ছবি: মহিউদ্দিন

নিজের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি–সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শামছুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রে তাঁর প্রতীক ঘুড়ির নামে যাঁরা এজেন্ট আছে, তাঁদের তিনি চেনেন না। আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী রেডিও প্রতীকের নূরুল আমিন নিজের কর্মীদের ঘুড়ির এজেন্ট বানিয়ে কেন্দ্রে বসিয়ে রেখেছেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ঘটনা এটি। কেন্দ্রের সামনে নিজের এজেন্টদের তালিকা নিয়ে অসহায়ের মতো ঘুরছেন সাবেক কাউন্সিলর শামছুল। টহলে আসা এক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের এজেন্ট তালিকা দেখিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।

ম্যাজিস্ট্রেট ভেতরে গিয়ে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে গাড়িতে ওঠেন।

ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজেন্ট আছে। এটি বলেই দ্রুত গাড়ি নিয়ে চলে যান তিনি। তবে পরে ভেলুয়ার দীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামানন্দের সঙ্গে দেখা হয় প্রতিবেদকের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দুটি কেন্দ্রে যাচাই করে দেখেছেন, ঘুড়ি প্রতীকের এজেন্ট আছে।

এর আগে শামছুল আলম বলেন, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি তিনি। আগে তিনবার কাউন্সিলর ছিলেন। কোনো কেন্দ্রে তাঁর এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর সমর্থকেরা কেন্দ্রের সামনে ভিড় করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কেন্দ্রের ভেতরে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। ঈদগা কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ বলেন, সাংবাদিকদের ভেতরে যাওয়া যাবে না। যা দেখার বাইরে থেকে দেখেন। এটা বলেই ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি অন্য দিকে চলে যান, তাঁর নাম জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হককে ফোন করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঢুকতে না দিলে তাঁর কিছু করার নেই। আর কাউন্সিলর প্রার্থীর অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ তাঁর কাছে যায়নি।

একই ওয়ার্ডের ভেলুয়ার দীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে এজেন্ট বের করে দেওয়ার একই অভিযোগ পাওয়া যায়। কেন্দ্রের সামনে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, তাঁদের সব এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মোনায়েম প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন প্রতীকের ছয়জন এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এজেন্ট পরিচয়পত্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল না। তাঁর স্বাক্ষর ছাড়া কীভাবে পরিচয়পত্র পেল, তা তিনি জানেন না।