একজন মানুষ কবার জন্মায়, মির্জা ফখরুলের কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পাশে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। ১৪ জুন বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘একজন মানুষ কবার জন্মায়? আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে পাঁচ-ছটি জন্মের তারিখ দিয়ে কেন বারবার জন্মগ্রহণ করালেন!’

‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখ ব্যবহার বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’ গত রোববার হাইকোর্টের এই রুল জারির পর মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বেগম জিয়ার পাসপোর্ট ও করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর জন্মতারিখের চিত্র নিজের আইপ্যাড থেকে সাংবাদিকদের দেখিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, মেট্রিক পরীক্ষার ফরমে খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। আবার তার বিবাহ সনদে জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন সরকারি নথিতে তাঁর জন্মতারিখ উল্লেখ আছে ১৯ আগস্ট ১৯৪৭ সাল। আর বর্তমানে যে পাসপোর্ট তিনি ব্যবহার করছেন, সেখানে তার জন্মতারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল। অতি সম্প্রতি তিনি যে করোনার টেস্ট করেছেন, সেখানে তাঁর জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৮ মে ১৯৪৬ সাল। কটি জন্ম তারিখ হলো!’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো সরকারি নথিতে কোনো জায়গায় বেগম খালেদা জিয়ার জন্মের তারিখ ১৫ আগস্ট উল্লেখ নাই। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ ১৫ আগস্ট দাবি করে কেক কাটা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয় সেদিনের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য, ১৫ আগস্টের এই মর্মান্তিক ঘটনাকে উপহাস করার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বেগম খালেদা জিয়ার জন্মের তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন এবং তাঁরা আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন, আদালতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাইকোর্টের রুলের পর বেগম জিয়ার এতগুলো জন্মতারিখের কারণে মানুষের কাছে উপহাসের পাত্র হয়ে তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে বক্তব্য রেখেছেন, সেগুলো হাইকোর্টের প্রতি, আইন-আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের মতোই। সেখানে তিনি কিছু আপত্তিকর কথাও বলেছেন।’