এখন নতুন অপপ্রচার শুরু হয়েছে টিকা নিয়ে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

দেশের কল্যাণকর প্রতিটি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এখন বিএনপির স্বভাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, করোনার শুরুতে যারা ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছিল, তারাই এখন নতুন করে অপপ্রচার শুরু করছে টিকা নিয়ে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহান স্রষ্টার রহমতে ও প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে আশঙ্কা অনুযায়ী করোনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দেশে করোনার সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও জীবন-জীবিকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

সরকার এত ত্বরিতগতিতে করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে বলেই বিএনপির এখন গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। সরকারের জননন্দিত কাজের প্রশংসা বিএনপির অভিধানে নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অন্ধ সমালোচনার বৃত্তে আবর্তিত হতে থাকুক। আত্মদহনে দগ্ধ হতে থাকুক। সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনার মতো টিকা সংগ্রহদানের কার্যক্রমও স্বচ্ছতা ও সফলতার সঙ্গে শেষ করবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাঁরা ইতিপূর্বে স্থানীয় সরকার বা অন্য কোনো নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না বা হবে না। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি ও আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যাঁরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বা হচ্ছেন, তাঁদের ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো কোনো দায়িত্বশীল নেতা ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের শৃঙ্খলা ও স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে সরে দাঁড়ান। অন্যথায় এসব সংগঠনবিরোধী কাজ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগ।