এটিও একটি 'নির্বাচন'
প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য। ছিল ১০ সদস্যের র্যাবের একটি দল। বিজিবিও প্রস্তুত ছিল। উপজেলা মিলনায়তনে নেওয়া হচ্ছে ভোট। বাইরে অন্তত ৫ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ও সমর্থকের ভিড়। হ্যাঁ, এটা একটা নির্বাচন। তবে তা প্রকৃত ভোটের আগেই প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গতকাল সোমবার এ ভোট নেওয়া হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলীয় কাউন্সিলররা গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে প্রার্থী বাছাই করেছেন। ভোটাররা সাদা ব্যালট পেপারে মনোনীত প্রার্থীদের নাম লিখে ব্যালট বাক্সে ফেলেন।
ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দীন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও সহসভাপতি রবিউল ইসলাম।
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন থেকে এই কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতও প্রতি ঘণ্টায় মিরপুরে যোগাযোগ রেখে আপডেট তথ্য নেন। সবার নজর ছিল মিরপুরের দিকেই।
গত শনিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দলটির প্রার্থী বাছাইয়ের সভায় মারধরের ঘটনা এবং মিরপুর উপজেলায় দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ থাকায় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়।
বিকেল সাড়ে চারটায় ভোট গণনা শেষে সদর উদ্দীন খান বেশি ভোট পাওয়ার ভিত্তিতে একের পর এক প্রার্থীর নাম ঘোষণা
করেন। ভোটের আগেই ভোটে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন ১৫৪ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম পেয়েছেন ১৩২ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার ১৬৪ ভোট পেয়ে প্রথম হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাছুদুর রহমান পেয়েছেন ৩২ ভোট। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন আকতার ১২১ ভোট পেয়ে প্রথম হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মর্জিনা খাতুন পেয়েছেন ৯০ ভোট।
দলীয় সূত্র জানায়, উপজেলা কমিটিসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৩৬৭ জন কাউন্সিলর ছিলেন।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসন খুবই তৎপর ও সজাগ ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু হয়ে গেছে।