এবারও বিএনপির প্রয়াস নিষ্ফল হবে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

১৩ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলনের আহ্বান ব্যর্থ হয়েছে, বর্তমান প্রয়াসও নিষ্ফল হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সংবিধানসম্মতভাবেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিনি দাবি করেন, নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের জন্য বিএনপি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
আজ সোমবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিরোধী দল বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভাবনা ও চর্চায় বিএনপির একমুখী দর্শন তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের শিকড়কে দিন দিন দুর্বল করছে। সরকার খালেদা জিয়াকে ভয়ে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চায় কি না, তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। যে নেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপি একটি মিছিলও করতে পারে না, তাদের মুখে মায়াকান্না মানায় না।

শেখ হাসিনার সরকার খালেদা জিয়া কিংবা ক্ষয়িষ্ণু বিএনপিকে ভয় পায় না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার বয়স ও স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়ে চতুর্থবারের মতো সাজা স্থগিত করেছে। এ উদারতা একমাত্র শেখ হাসিনাই দেখিয়েছেন। এই উদারতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে বিএনপি।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি বলেন, লকডাউনের পরে আবারও পরিবহনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর উত্তরায় পুনরায় চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার পর ধানমন্ডি এলাকায় চক্রাকার বাস সেবা পুনরায় চালুরও প্রস্তুতি রয়েছে।

বিআরটিসির মতো সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি যাতে বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজর দেওয়ার নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। সুতরাং যেকোনো মূল্যে বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়েও তদন্ত করতে পারে। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

লোভ-লালসায় যারা বেপরোয়া, তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করে যাচ্ছে, তাই প্রত্যেক সেক্টরে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীবনকে উপভোগ করতে কত টাকা, কত সম্পদ দরকার? মৃত্যুর পরে তো এ সম্পদ সঙ্গে নিতে পারবেন না। তখন এসব সম্পদের কী হবে?’