এমন বক্তব্য ক্ষমতার দম্ভের উগ্র প্রকাশ

জোনায়েদ সাকি
ফাইল ছবি

ক্ষমতার এই দাপটই শেষ কথা নয়, সেটি বর্তমান সরকার ভুলে যাচ্ছে বলে মনে করে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বৃহস্পতিবার দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, কাউকে পদ্মা সেতু থেকে ‘টুস করে ফেলে দেওয়া’ এবং ‘নদীতে চুবনি দিয়ে ওঠানো’র মতো বক্তব্য দেওয়া কেবল হিংসাত্মকই নয়, ক্ষমতার দম্ভের উগ্র প্রকাশ।

বর্তমান সরকারপ্রধান ক্ষমতাকে নিজেদের জমিদারি মনে করে বসে আছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

গতকাল বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে গণসংহতি আন্দোলন বলে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনামকে নিয়ে যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ন্যক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। জবাবদিহিবিহীন ক্ষমতার জোরেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে দেশের কোনো নাগরিকের প্রতি ভরা মজলিশে এ রকম অসম্মান করা গেল। কোনো একজনের সম্মানহানি কার্যত সব নাগরিকের অসম্মান।

গণসংহতি আন্দোলন বলে, দেশের নাগরিকদের প্রতি নিয়মিত বিরতিতে অসম্মানজনক ও শ্লেষাত্মক মন্তব্য সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে নানা কর্তাব্যক্তির কাছ থেকে শোনা যায়। নাগরিকদের ক্ষমতাহীন ভাবাই এ ধরনের মন্তব্যের অন্যতম কারণ। জনগণের জবাব শাসকদের জন্য সর্বদাই করুণ পরিণতিই বয়ে আনে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির তৎপরতায় নিন্দা

এদিকে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। গতকাল পৃথক এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে যখন চরমভাবে ব্যর্থ, তখনই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের শুনানিতে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্যভাবে বিদ্যুতের খুচরা দাম বাড়ানোর যুক্তি তৈরি করবে এবং তা সব পণ্যের দাম বাড়াবে।

সরকার ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ খাতকে ‘লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত করেছে এমন অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অব্যাহত লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই উপর্যুপরি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি।

আরও পড়ুন