কারাবন্দী দুই হেফাজত নেতাকে বারিধারা মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি

হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী ও হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী

সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দী হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী ও হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীকে রাজধানীর বারিধারার জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তাঁদের মধ্যে মনির হোসাইন কাসেমী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। আর হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী ছিলেন মাদ্রাসার মুহাদ্দিস।

রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া ও বিতর্কিত বক্তব্যের কারণ দেখিয়ে গত সোমবার বারিধারা মাদ্রাসার মজলিশে শূরা তাঁদের অব্যাহতি দেয়। একই সঙ্গে উপাধ্যক্ষ মাসউদ আহমদকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসউদ আহমদ বুধবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মাদ্রাসায় শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে মজলিশে শূরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বারিধারা জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হেফাজতের প্রয়াত মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি বিএনপি জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁর মৃত্যুর পর মাদ্রাসার মুহতামিম পদ নিয়ে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে এই পদে আসেন মনির হোসাইন কাসেমী। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনও করেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাসেমী হেফাজতের কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গত ২১ মে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এই হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নাশকতা এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নাশকতার অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীর বিরুদ্ধেও ২০১৩ সালে এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।