কুমিল্লায় ফল ঘোষণার শেষ সময়ে বিশৃঙ্খলা, হট্টগোল
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ফল ঘোষণার শেষ সময়ে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হকের (সাচ্চু) সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। ফল ঘোষণার আগে দুই প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার গুজব ছড়িয়ে এ হট্টগোল হয়। এ হট্টগোলের কারণে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়।
আজ বুধবার রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। এ সময় তিনি মাইকে ঘোষণা করেন, চারটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা বাকি আছে। এসব কেন্দ্রের ফল তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি। তিনি তখন কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল ঘোষণার কথা বলেন।
তাঁর এই ঘোষণার পর মিলনায়তনে উপস্থিত থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হকের অনুসারীরা হইচই করেন, স্লোগান দেন। তাঁরা এ সময় মেয়র প্রার্থীর ফল ঘোষণা করার দাবি জানান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁদের আশ্বাস দেন, মেয়র প্রার্থীর ফলই আগে ঘোষণা করা হবে।
এর কিছুক্ষণ পর রাত পৌনে নয়টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনের ফল ঘোষণাস্থলে (শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন) আসেন। এ সময় মনিরুল হকের অনুসারীদের একটা অংশকে পুলিশের সদস্যরা মিলনায়তন থেকে বের করে দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এরপর আরও দুটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেন। এ সময় রাত নয়টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) তাঁর অনুসারীদের নিয়ে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন। তবে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ভেতরে প্রবেশে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
আরফানুলের সমর্থকেরা এ সময় নৌকা মার্কার স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে টেবিলঘড়ি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সেখানে থাকা পুলিশের সদস্যরা সবাইকে হল থেকে বের করে দেন। মিলনায়তনের পরিস্থিতি থমথমে হয়ে পড়ে।
এসব বিষয় নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের ফলাফল বানচাল করতেই মিলনায়তনে নৌকার প্রার্থীরা এসেছেন। ফল ঘোষণা না নিয়ে তিনি সে স্থান ত্যাগ করবেন না।
পরে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হককে ৩৪৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।