কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৭৬%: মন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক
ফাইল ছবি

কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের মে মাসে এ–বিষয়ক জাতীয় গড় অগ্রগতি ছিল ৫৮ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, এক বছরের ব্যবধানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের এ হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের মে মাসে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯ শতাংশ। ওইসময় মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে।

চলমান করোনা মহামারি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মতো মন্ত্রণালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁদের পরিশ্রমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

সভায় কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণসহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ব্রি ধান–৬৭, ব্রি ধান–৯৭, ব্রি ধান–৯৯, বিনা-১০সহ অনেকগুলো লবণসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব ধানের পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে তা কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের চাষের জমি কমছে, বিপরীতে মানুষ ও খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) আবদুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সভার শুরুতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ প্রদান করা হয়। এ বছর পুরস্কার পেয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আবদুল বাতেন সিরাজী।