কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে ফটকে আটকাল চবি ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে আটকে দিয়ে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম দেখতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপপক্ষের নেতা-কর্মীরা তাঁদের মূল ফটকে আটকে দেন। নেতা-কর্মীরা এ সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার দাবি জানান। পরে দুই নেতার আশ্বাসে তাঁরা সরে যান।

চবিতে আসা দুই নেতা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপসাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক শেখ নাজমুল ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ। এ দুই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে সহায়তা করা হবে বলে তাঁরা জানান।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, দুই সদস্যের কমিটির কার্যক্রম দেখতে ক্যাম্পাসে আসেন শেখ নাজমুল ইসলাম ও হায়দার মোহাম্মদ। তাঁদের আসার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে জড়ো হন বিভিন্ন উপপক্ষের শতাধিক নেতা-কর্মী। পরে মূল ফটকে অবস্থান নেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড ছিল।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ রেজাউল হককে সভাপতি ও সিক্সটি নাইনের নেতা ইকবাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি দ্রুত সময়ে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু প্রায় আড়াই বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। তবে গত বছরের ৯ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত পদপ্রত্যাশী কয়েক শ নেতা-কর্মী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দুই পক্ষে বিভক্ত। একটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এই দুই পক্ষ আবার ১১টি উপপক্ষে বিভক্ত।

চলতি মাসেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি

চলতি মাসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রেজাউল হক ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। দুপুরে মূল ফটকে দাঁড়িয়ে তাঁরা এ ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে রেজাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে নেতা-কর্মীদের নাম কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হবে। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

উপপক্ষ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করায় নেতা-কর্মীরা অসন্তুষ্ট। এ কারণে মূল ফটকে কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে আটকে দাবির বিষয়টি জানান নেতা-কর্মীরা।