কোটালীপাড়ায় বোমা: শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলার রায় ২৩ মার্চ

এই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৮ সালে ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–২

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন রেখেছেন আদালত।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান সম্প্রতি এই দিন ঠিক করেন। ওই আদালতে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান।

এই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছিল। দুটি মামলার রায় বিচারিক আদালতে আগেই হয়েছে।

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।

২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় রায় ঘোষণা করেন। তাতে ১০ জনের ফাঁসির দণ্ড এবং আরও ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা-কর্মী।

হত্যাচেষ্টা মামলার আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি এবং ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।