ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে খুনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন জিয়াউর রহমান: তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ঢাকা, ৩০ মে
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে খুনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ান ও অফিসারদের হত্যা করে খুনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশে কারফিউতন্ত্র কায়েম করেছিলেন, তবু নিজে রক্ষা পাননি।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান যুক্ত ছিলেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তিনি দেশ-বিদেশে পুনর্বাসিত করেছিলেন। দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমনিটি বিল সংসদে পাস করেছিলেন। অর্থাৎ স্বাধীনতার মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু হত্যা নয়, হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার জন্য সবকিছুই করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান এবং তাঁর পরিবার—এমন মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তাদের হাতেই জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডই সমর্থন করি না। এভাবে যিনি মানুষ হত্যা করেন, তিনি যে রক্ষা পান না, সেটির প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড।’

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তিনি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন, তখন ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে এবং তাঁর পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইতিহাসে এ ধরনের হামলা খুবই বিরল।’

হাছান মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, খুলনার মঞ্জুরুল, হুমায়ুন কবীর বালু, গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী, নামাজরত মসজিদের ইমাম, বৌদ্ধ ভিক্ষু, বহু সাংবাদিকসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনের চেষ্টা করছে—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে নিবন্ধিত দল এবং গত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায় দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিরাজমান। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এসব কথা বলে আসলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন।’