খালেদা জিয়াকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ দিন: রিজভী
বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে তাঁর স্বজনদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করার সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে আজ রিজভী বলেন, ‘৭৪ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ নারীকে আর বন্দী রাখবেন না। খালেদা জিয়াকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠের মধ্যেই পঞ্চমবারের মতো ঈদ করছেন। তাঁর সুচিকিৎসা ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ দিন।’
রিজভী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ জানেন,আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। একদলীয় হানাদারি শাসনের ঘন অন্ধকার দূর করে আলোর প্রত্যাশা পূরণে খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরিহার্য। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।’ রিজভীর বক্তব্য, ‘আপনারা মধ্যরাতের অভিনব ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকার জন্যই তাঁকে জেলে পুরেছিলেন, সেই কাজ তো ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতেই সেরে ফেলেছেন।’
গত শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে আরামদায়ক ও স্বস্তিদায়ক হবে।
ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া এই বক্তব্যের আজ সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমি গতকালও বলেছি এবারের ঈদ হচ্ছে সবচেয়ে বেদনাদায়ক। এ বেদনাদায়ক চিত্র সর্বত্র ফুটে উঠেছে। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গণপরিবহনে যে সীমাহীন নৈরাজ্য চলছে—ইতিহাসে এমন ঘটনা কি আগে কখনো ঘটেনি। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না।’
ঈদের যাত্রায় গণপরিবহনের নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন বিএনপি নেতা রিজভী। তিনি বলেন, ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা, ৫০০ টাকার ভাড়া ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর অভ্যন্তরীণ পরিবহনে ৫০ টাকার নিচে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। ভাড়া নিয়ে গণপরিবহনের লোকেরা যাত্রী সাধারণের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করছে, লাঞ্ছিত করছে। মহাসড়কে দুর্বিষহ যানজটে পড়ে মানুষ সীমাহীন কষ্ট করছে। এগুলো দেখার কেউ নেই।
রিজভী বলেন, ‘গণপরিবহনে এ নৈরাজ্যের জন্য দায় ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এড়াতে পারেন না। গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের ব্যর্থতার দায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পদত্যাগ করত। কিন্তু বংশানুক্রমিকভাবে পদত্যাগের জিন আওয়ামী নেতাদের মধ্যে নেই।’
রিজভী বলেন, কয়েক দিন যাবৎ সরকারের মন্ত্রী ও কতিপয় নেতা বিএনপিকে উদ্দেশ করে লাগামছাড়া বক্তৃতা দিচ্ছেন। ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে খুব বিস্মিত হচ্ছি তাঁদের কথা শুনে। তাঁরা কথার তাল-লয় হারিয়ে ফেলছেন বলে অনুমিত হচ্ছে।