খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত 'সম্পূর্ণ অবিচার': ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৬ মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়াকে অবিচার বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল।

আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে নিয়েই ঈদের সময়ে কবর জিয়ারত করতে আসেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তিনি অসুস্থ, তাঁর পক্ষে আসা অসম্ভব। তাঁকে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রতি যেটা সম্পূর্ণ অবিচার করা হয়েছে। তাঁকে সম্পূর্ন ভাবে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল।'

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'যেমন ছিলেন, তাঁর চেয়ে খারাপ হয়নি, স্থিতিশীল আছেন।'

মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের ঈদুল ফিতর একদমই ভিন্ন রকম। করোনাভাইরাসের মহামারি বিশ্বকে উলটপালট করে দিয়েছে। সামাজিক নৈকট্যকে দূরত্ব পরিণত করেছে। এবারের ঈদে ব্যক্তি নিরাপত্তাই প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। দল ও চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা জানান।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই সংক্ক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাতে সমন্বয় ছিল না। এখনো নেই। গার্মেন্টস খুলে দেওয়া এবং ঈদের আগ দিয়ে মানুষের চলাচলের সুযোগে সারা দেশের মানুষ এখন আক্রান্ত হবে। প্রতিদিন সংখ্যা বাড়ছে। বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলেও জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'লকডাউন ঘোষণা না করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায়, মানুষ আসলে ছুটিই ভোগ করছে। সরকারের যে ধরণের গুরত্ব দেওয়া দরকার ছিল তা তাঁরা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নূন্যতম প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা থেকেও ব্যর্থ তাঁরা।'

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারের নির্দেশ এত অসামঞ্জস্যপূর্ণ, দায়িত্বের লেশ নেই, সমন্বয় নেই। এ ছাড়া প্রণোদনার ঋণ প্রসঙ্গে বলেন, 'মেগা প্রোজেক্টের চুরি বন্ধ করলেই অনেক মানুষকে সাহায্য করা যেত।' 

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।