গায়ের জোরে ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে আ. লীগ: খন্দকার মোশাররফ

জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃত করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। পাঠ্যপুস্তকে যাতে জিয়াউর রহমানের নাম না আসে, সে ব্যবস্থা করে গেছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখনকার শিশুরা জিজ্ঞাসা করে, বিএনপি কেন করছেন? সামনে এটাও হয়তো জিজ্ঞাসা করবে, জিয়াউর রহমান কে?’

ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের নানা অবদানের কথা তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, যা ইতিহাস নয়, তা রাখা হচ্ছে। যা সত্যি, তা সম্পূর্ণ ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের নাম যেখানে যেভাবে থাকার কথা ছিল, সেখানে সেভাবে না রেখে এই প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসের যেসব জায়গায় জিয়াউর রহমান ও বিএনপি সফল হয়েছে, সেখানে বর্তমান সরকার ও তাদের নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।

ক্ষমতাসীন দল গায়ের জোরে সরকারে থাকতে চায়। সে জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে বলে মনে করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের পরিবারকে সরকারের ভয়। এদেশে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা শুধু বিএনপির দাবি নয়, সমাজের দাবি, সবার দাবি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ অনাহারে রয়েছেন বলেও দাবি বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্যের। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। কারণ, সিন্ডিকেট করছেন তাঁদের দলের ব্যবসায়ীরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদ, মহাসচিব আবদুস সালাম প্রমুখ।