জিয়াউর রহমানের পেছনে লেগে লাভ নেই: অলি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের পেছনে লেগে লাভ নেই। যদি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেওয়া হবে।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এলডিপির এক আলোচনা সভায় অলি আহমদ এ কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন। চেতনা কোথা থেকে আসে। শুয়ে শুয়ে কি চেতনা আসে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো হবে, যাঁরা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। আওয়ামী লীগের একজন নেতার নাম বলেন, যিনি বীর উত্তম, বীর বিক্রম বা বীর প্রতীক ছিলেন। একজন সেক্টর কমান্ডারের নাম বলেন, যিনি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। সবই তো সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনী না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।’

এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বলেন, ‘ঢাকায় ক্র্যাকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে আমরা অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা বিদ্রোহ করি। জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শোনার পর সবার মধ্যে চেতনা এল যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, আমাদের অংশ নিতে হবে। ২৯ মার্চের আগে কেউ যুদ্ধে শামিল হয়নি।’

অলি আহমদ বলেন, ‘আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বসে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করি। জিয়াউর রহমানের যদি দুরভিসন্ধি থাকত, তাহলে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়ার কোনো প্রশ্ন আসত না। ২৭ মার্চ সন্ধ্যার পর আমি এবং জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রেডি করলাম, এরপর তিনি রেডিওতে ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষণা প্রতি এক ঘণ্টা পরপর প্রচারের জন্য শমসের মুবিনকে দায়িত্ব দেওয়া হলো, যাতে বাংলার জনগণ সবাই শুনতে পারে।’

এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নেয়ামুল বশির, জাতীয় লীগের এহসানুল হুদা প্রমুখ।