জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল ন্যক্কারজনক ঘটনা: সাদা দল

জিয়াউর রহমান।

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

গঠনটি বলেছে, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল একটি ‘ন্যক্কারজনক ঘটনা’।
আজ বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন সাদা দলের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।

স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাঁদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেবল একজন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। বাঙালি জাতির চরম দুর্যোগ মুহূর্তে বাঙালি সামরিক অফিসারদের মধ্যে তিনিই প্রথম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। একজন সেক্টর কমান্ডার এবং মুক্তিবাহিনীর অন্যতম ব্রিগেড জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধযুদ্ধকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ স্টালিনগ্রাদের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ও বীরত্বসূচক অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার শহীদ জিয়াকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেছে।

আরও পড়ুন

সাদা দল বলেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক আমরা মনে করি, গত এক যুগের বেশি সময় ধরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তাঁর পরিবারকে ধ্বংস করার যে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চলছে, খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত এরই অংশ বলে আমরা মনে করি। এর মাধ্যমে শহীদ জিয়াকেই কেবল নয়, প্রকারান্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধকেই অবমাননা করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লগ্নে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রতি এ ধরনের হীন প্রতিহিংসামূলক আচরণের প্রতি কঠোর ধিক্কার জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন

সাদা দলের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির একজন আইকন। তিনি তাঁর কীর্তি ও কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে নিজের অমর–অক্ষয় স্থান নিশ্চিত করে গেছেন। কোনো অপচেষ্টার মাধ্যমেই তাঁকে দেশের মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না।