দেখাসাক্ষাতের কারণে দুষ্কৃতকারীরা রেহাই পাবে না: তথ্যমন্ত্রী

কৃষক লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশবিরোধী সব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।

করোনা মহামারির এই পরিস্থিতির মধ্যেও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ পালন করছি, তখন ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারা দেশে হেফাজতের ব্যানারে তাণ্ডব চালানো হলেও এতে অংশগ্রহণ ছিল বিএনপি-জামায়াতের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে তাঁরা দেখা করেন। কিন্তু দেখাসাক্ষাতের কারণে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যাহত হবে না। কারণ, দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে হেফাজতের একটি প্রতিনিধি দল যায়। হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে, তা বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, ‘সমস্ত ষড়যন্ত্র, সমস্ত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা আমাদেরই উপড়ে ফেলতে হবে, আমরা কারও ওপর ভরসা করব না।’

‘দৈবদুর্বিপাকের মধ্যেও মিজানুর রহমান রাজশাহীতে বক্তৃতা দেন, ডা. জাফরুল্লাহ ঢাকায় বক্তৃতা দেন এবং বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখে, লন্ডন থেকে লেখানো হয়। তাই এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে হবে। কারণ, ষড়যন্ত্র থেমে নেই।’

খালেদাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

বিএনপি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ, হাসপাতালে আছেন, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। মহান স্রষ্টার কাছে আমি প্রার্থনা করি, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে দ্রুত ঘরে ফিরে যান। আদালতে তাঁর জামিন না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে করোনা মহামারির শুরুতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে তাঁকে মুক্তি দিয়েছেন এবং সেটি দুই দফা বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর এই অসুস্থতার অজুহাতকে সামনে এনে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসা তো আমাদের দেশে যা, ইংল্যান্ডেও তা, সিঙ্গাপুরেও তা, ইউরোপেও তা। সুতরাং এই ধরনের দাবি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতি শুধু খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তাদের কথায় মনে হয়, দেশের জনগণের চিকিৎসার কোনো দরকার নাই, খাদ্যের কোনো দরকার নাই। এটা কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি, তা আজও আমাদের বোধগম্য হয় না।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম, হোসনে আরা, শামীমা শাহরিয়ার, কৃষক লীগের সহসভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।

প্রায় পাঁচ শ পরিবারের হাতে ঈদ উপহারসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা
ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রায় পাঁচ শ পরিবারের হাতে ঈদ উপহারসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।

আরও পড়ুন