দেশে এখন আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সুদক্ষ নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বে সমাদৃত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের জনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি নেতারা সরকার হটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাঁরা এখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারে চোরাগলি খুঁজছে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে যে তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের পক্ষে। তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিভিন্ন চলমান প্রকল্প আজ দৃশ্যমান, তাই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে। বিএনপি আমলে তারা একটাও উন্নয়নের সফলতা দেখাতে পারেনি, তাই তাদের রাজনীতিতে এখন খরা লেগেছে। বিএনপির সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে ঢাকা মহানগরের নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে এখন আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের রাজনীতি সরকারবিরোধী রাজনীতিকে ইস্যু–সংকটে ফেলে দিয়েছে। বিএনপি আন্দোলনের কোনো জুতসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে ডুবন্ত মানুষের মতো এটা-সেটা আঁকড়ে ধরার অপচেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভালোবাসা, দেশপ্রেম আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের কঠিন মনোবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমাদের প্রত্যেকের বিকল্প থাকলেও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতেও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের আস্থার সোনালি দিগন্ত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অভিযাত্রায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠে আসতে পেরেছে, শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি সোনালি পালক।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সব ইউনিটের কমিটি গঠন করতে হবে এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরবর্তী তিন মাস পরে ওয়ার্ড সম্মেলন ও থানা সম্মেলন করতে হবে।