নতুন প্রজন্মের স্বার্থে জেলহত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন দরকার: কাদের

বনানীর কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী) কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন
ছবি: বাসস

নতুন প্রজন্মকে জানাতে জেলহত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করা দরকার বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জেলহত্যাকাণ্ডের অনেক রহস্যের উন্মোচন এখনো হয়নি। নতুন প্রজন্মের জন্য এ রহস্য খুঁজে বের করতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আজ ৩ নভেম্বর শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনের প্রথম প্রহরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মম হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা এবং একই চক্রান্তের ধারাবাহিকতা। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এই দুটি কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছে। অভিভাবকশূন্য করতে বঙ্গবন্ধু হত্যা আর নেতৃত্বশূন্য করতেই একাত্তরের পরাজিত শক্তি জেলহত্যা সংঘটিত করেছিল।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় নেতাদের হত্যা করে সেদিন তারা আমাদের নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর কেন জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা, কর্নেল হায়দারসহ অসংখ্য সেনাবাহিনীর অফিসারকে, জওয়ানকে সেদিন সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে হত্যা করা হয়েছিল, তার অনেক রহস্য এখনো উন্মোচন করা হয়নি। ইতিহাসে সত্যের স্বার্থে এবং আগামী প্রজন্মকে সব বিষয়ে জানাতে আমাদের এ বিষয়টি উদ্‌ঘাটন করে বের করা দরকার।’

এরপর বনানীর কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী) কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় চার নেতার শাহাদৎবার্ষিকীতে এটাই শপথ—বাংলাদেশে এখনো স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির চক্রান্ত ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। কাজেই আজ আমরা শপথ করব, আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে তথা সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব।’

কামারুজ্জামানের কবর রাজশাহীতে হওয়ায় সেখানেও দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বরের প্রথম প্রহরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত হয়েছিলেন শীর্ষ পর্যায়ের চারজন রাজনৈতিক নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। এ নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। বিচারও হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি।

এ এইচ এম কামারুজ্জামান ছাড়া অন্য তিনজনকে কবর দেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।