নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ: ইসি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের সারি। শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্র, পশ্চিম দেওভোগ, নারায়ণগঞ্জ, ১৬ জানুয়ারিছবি: দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। যদিও ইভিএমে ভোট হয়েছে। তাই দ্রুতই ফল প্রকাশিত হবে।’

আজ রোববার ভোট গ্রহণ শেষে মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। নির্বাচনের আগে মহড়া ভোটের সময় নারীরা কম এসেছেন। তাই ভোটের দিন নারীদের ভোট পদ্ধতি বুঝিয়ে দিতে সময় লেগেছে। তবে যাঁরা ভোটকেন্দ্রে এসেছেন, সবাই ভোট দিয়েছেন। কমিশনের কেউ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। কোনো অভিযোগও আসেনি।’

এদিন নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন ছাড়াও টাঙ্গাইল–৭ আসনে উপনির্বাচন ও পাঁচ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই সব নির্বাচন নিয়ে ইসি সচিব বলেছেন, ‘সেখানেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। পাঁচ পৌরসভায় প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। টাঙ্গাইলে প্রায় ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।’

নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার কেউই বড় ধরনের কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি। তৈমুর আলম একপর্যায়ে বলেছেন, বন্দর থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় হাতি প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও আশপাশের এলাকায় কর্মী–সমর্থকদের উপস্থিতি তেমন নেই। আগের রাতে পুলিশের বিরুদ্ধে আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

আইভী ও তৈমুর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আজ ভোট গ্রহণের দিন উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। তরুণ থেকে অশীতিপর বৃদ্ধও তাঁদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ নিতে আগ্রহ নিয়েই ভোটকেন্দ্র এসেছেন। তবে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক ভোটারদের ইভিএমে ভোট দিতে অসুবিধায় পড়তে দেখা গেছে।