নিজ এলাকায় কত আন্দোলন–মিছিল করেছেন, প্রশ্ন নজরুল ইসলামের

শ্রমিক দলের আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। প্রেসক্লাব, ঢাকা ৬ জুন
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

বিএনপির আন্দোলন–সংগ্রাম করা নিয়ে সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের সমালোচনা করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, এসব সংগঠন কী করেছে?
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ রোববার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিক দল। সভায় নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সহযোগীরা আন্দোলন–সংগ্রামের কথা বলছেন। কিন্তু নিজ এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আপনারা কী পরিমাণ আন্দোলন–মিছিল করেছেন? কাউকে তো মানা করা হয়নি।’

এ সময় উপদেশ বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করা হলে গণবিপ্লব হয়। তবে বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনেই এগোবে।
বিভিন্ন মহলে জিয়াউর রহমানকে ছোট করা হচ্ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, নিজেরা বড় না হয়ে যিনি বড়, তাঁকে ছোট করা হচ্ছে।

এ সময় জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নিজ বীরত্বের জন্য খেতাব অর্জন করেছেন। তা কেউ বাতিল করতে পারে না।
খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে বন্দী রাখা হয়েছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, চিকিৎসার জন্যও বাইরে যেতে দিচ্ছে না। এটা অমানবিকতা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক মন্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র হত্যা করা হয় সংবিধান বাতিল করে সামরিক শাসন জারি করলে বা সব দল বাতিল করে একদলীয় শাসন কায়েম করলে। আওয়ামী লীগই একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করে। বিএনপি কোনো দিন একদলীয় শাসন, বাকশাল বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেনি।

সভাপতির বক্তব্যে শ্রমিক দলের সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, পরিকল্পিত লাগাতার আন্দোলন দিন। মামলা চলুক৷ আন্দোলনও চলুক। বিচ্ছিন্ন আন্দোলনে কিছু হবে না।