পদ্মা সেতু কি ওনাদের পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে বানানো হয়েছে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু ঘিরে বিএনপি নেতাদের নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। এর জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন তুলেছেন, পদ্মা সেতু এসব আওয়ামী লীগ নেতার পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে বানানো হয়েছে কি না।

বুধবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।

আগামী মাসেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। এ নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়া শুরু হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ছিল শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, বিএনপির নেতাদের জন্য সেতুর নিচে নৌকা রেখে দেওয়া হবে। তাঁরা সেটি দিয়ে পার হবেন। একই অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বিএনপির নেতারা যাতায়াত করতে গেলে তাঁদের ক্ষমা চেয়ে যাতায়াত করতে হবে।

আরও পড়ুন

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতাদের এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এসব কথা আমরা ইগনোর করি। এসব অপ্রকৃতিস্থ লোকদের মতো কথা।’

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম পাল্টা প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘ওটা (পদ্মা সেতু) কি ওনাদের (আওয়ামী লীগের নেতাদের) পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে বানিয়েছেন, নাকি আমাদের জনগণের টাকা দিয়ে বানিয়েছেন। পুরোটাই তো আমাদের পকেটের টাকা কেটে নিয়েছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ৩০ হাজার কোটি টাকাতে নিয়ে ওখান থেকে চুরি করেছেন। সুতরাং এসব কথা তাঁদের মুখে শোভা পায় না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পদ্মা সেতুতে সরকার নির্ধারিত টোল অত্যন্ত বেশি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা পুরোপুরি স্টাডি করিনি। তবে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, অত্যন্ত বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন যমুনা সেতুতে (বঙ্গবন্ধু সেতু) পারাপারে যে টোল নেওয়া হয়, তার চেয়ে আনুপাতিক হারে অনেক বেশি পদ্মা সেতুতে, অল মোস্ট ডাবল।’

আরও পড়ুন

গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোটরসাইকেলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা আর বড় বাসের টোল ২ হাজার ৪০০ টাকা।