পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল কর্মীদের অনশন

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশীরা
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনের পদপ্রত্যাশীরা। শতাধিক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে। বেলা একটায় কর্মসূচি শেষ হয়।
অনশনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘সংগঠনের স্বার্থে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির দাবিতে আমাদের এই প্রতীকী অনশন।’
মাছুম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘সংগঠনের গতিশীলতা ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয় নিশ্চিত করতে দ্রুত কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হোক। দেশজুড়ে ছাত্রদলের চলমান বিশাল কর্মযজ্ঞে আমরাও শামিল হতে চাই, কাজ করার সুযোগ চাই। সংগঠনকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করার মাধ্যমেই সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে রুখে দিতে সক্ষম হব।’
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ছাত্রদলের ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার কারণে সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের কাছে নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু গত ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করলে তাতে রাজপথের অনেক পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীর ঠাঁই হয়নি। এতে বাদ পড়া নেতা–কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এমতাবস্থায় দ্রুত কমিটি বর্ধিত হবে—ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের এমন আশ্বাসে দলের প্রতি ভালোবাসা এবং কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তাঁরা সংগঠন এগিয়ে নিতে এবং গতিশীলতা আনতে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা বলেন, সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ছাত্রসংগঠনের চলমান হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মোকাবিলায় যেখানে সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন, সেখানে তাদের কাজ করার সুযোগের জন্য দাবি করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এক কর্মী বলেন, ‘২৪ মাস মেয়াদি কমিটির প্রায় ১৭ মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা আজও কোনো সাংগঠনিক পরিচয় পাইনি। করোনাপরবর্তী সময়ে আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবি জানিয়ে আসছি। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২১ জানুয়ারি আমরা লিখিতভাবে আমাদের দাবি কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে উপস্থাপন করি। কিন্তু বিশ্বাসের বিপরীতে বরাবরই আমাদের হতাশ হতে হয়েছে।’
কর্মীরা বলেন, এমনকি ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনা সত্ত্বেও কোনো এক অজানা কারণে কেন্দ্রীয় সংসদ পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে না। সাংগঠনিক কোনো পরিচয় না পাওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে  বিব্রতকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে।