পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শনিবার দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনেও বিপুলসংখ্যক ভোটার উপস্থিতি ছিল, কোনো কোনো পৌরসভায় ৭০ শতাংশের বেশি এবং সার্বিকভাবে ৬১ শতাংশের বেশি। এমনকি ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা-আশঙ্কা থাকার পরও ইভিএম ভোটেও উপস্থিতি ছিল ৫৭ শতাংশের বেশি। অতীতের মতো দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়, তবে সার্বিকভাবে ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক।’

দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে এবং বিএনপি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। আপনারা জানেন, প্রথম দফা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মাত্র ২ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবার ৪ জন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্বাচনের পর বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি স্বাভাবিক। প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই দফা নির্বাচনেই জনগণ কর্তৃক প্রচণ্ডভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাঁদের দুর্বলতা ঢাকা আর মুখ রক্ষার জন্য তাঁরা এ বক্তব্য দিচ্ছেন। জনগণ থেকে তাঁরা যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন এবং উপজেলা-পৌরসভা পর্যায়ে তাঁদের সংগঠন যে দুর্বল হয়ে গেছে, সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই তাঁদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাব, তাহলেই বিএনপি লাভবান হবে। এরপরও বিএনপি কয়েকটি আসনে নির্বাচিত হয়েছে, এ জন্য আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই।’

মির্জা আবদুল কাদেরকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা আবদুল কাদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের সম্মিলিত ভোটের চেয়ে তিন গুণ ভোট বেশি পেয়েছেন। এ জন্য আবদুল কাদের মির্জা নিশ্চয়ই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আল-কায়েদার কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে’ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নাই। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অজ্ঞতাবশত যখন এই বক্তব্য রাখেন, সেটি খুবই দুঃখজনক। সরকারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।’

আজকের বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে সহিংসতা দেখা দিয়েছে, সেখানে পার্লামেন্টে হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন, যা আমাদের দেশ কিংবা আশপাশের কোনো দেশে কখনো হয়নি। এবং এফবিআই তথ্য দিচ্ছে, তাদের আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণের দিন যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী সহিংসতা ছড়াতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সন্ত্রাসবাদ দমন করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব এবং লক্ষ্য। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ এবং বর্ণবাদ—এ দুটির ব্যাপারে তাদের আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।