বিএনপি শীতনিদ্রায় আছে: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপি বারবার প্রতারণা ও চাতুর্যের আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তাদের চাতুর্য আছে, কিন্তু নৈতিকতা নেই। জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সৎ সাহস এবং রাজনৈতিক অবস্থানও নেই। বিএনপির নেতারা হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে চিরাচরিত মিথ্যাচারের রেকর্ড বাজাচ্ছেন। তাঁরা শীতনিদ্রায় রয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ  কথা বলেন। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির চেয়ারম্যান রশীদুল আলম, সদস্যসচিব, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ অন্য সদস্যরা।

দেশবিরোধী অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা নস্যাতের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে, যা দুঃখজনক উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই অপশক্তি গণতন্ত্র, প্রগতি ও উন্নয়নের প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা। তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আজ দৃশ্যত বিভক্তির মধ্যে আছেন। এ বিভক্তি মুক্তিযুদ্ধের অর্জন এবং চেতনাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

বহুধা বিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র সাম্প্রদায়িকতা দেশের হাজার বছরের লালিত ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে চায়। তাঁদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মে নেতৃত্ব দেবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে যাঁরা বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন, তাঁদের দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে অনতিবিলম্বে সরে দাঁড়াতে কঠোর নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের স্বার্থে সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে হবে। যাঁরা বিদ্রোহ করছেন বা করবেন, তাঁদের আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই রাজনীতি করতে হবে।