বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে বললেন তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় প্রেসক্লাবে তথ্যমন্ত্রী
ছবি: পিআইডি

বিএনপিকে জণগনের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি মনে করেন, মানুষকে বোমা মেরে হত্যা ও জিয়াউর রহমান যেভাবে সৈনিক হত্যা করেছেন, তার জন্য বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যে পেট্রলবোমা মেরে মানুষকে হত্যা করেছেন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সৈনিক হত্যা করেছেন, সে জন্য আপনারা জনগণের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে আগে লাল ব্যাজ ধারণ করুন। রাজনৈতিক কারণে এ রকম মানুষ হত্যা সমসাময়িক রাজনীতিতে কখনো ঘটেনি।’

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আব্দুর রাজ্জাকের নবম মৃত্যুবার্ষিকী এবং চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির হাতে দেশ ও দল নিরাপদ নয়। মেজর হাফিজ সাহেবকে যেভাবে নোটিশ দিয়ে অপমান করা হয়েছে, সেটার জবাব তিনি জনসম্মুখে দিয়েছেন। সেখানে একটি কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মেজর হাফিজ বলেছেন, বিএনপিতে কমিটি বাণিজ্য হচ্ছে। যাঁরা এমন কমিটি করার সময় বাণিজ্য করেন, তাঁরা যদি দেশের দায়িত্ব পান, তবে দেশটা তো তাঁরা বাণিজ্যের জন্য বিক্রি করে দিতে পারেন।

সরকার সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য কালো ব্যাজ ধারণ করবে বলে শুনেছি। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সীমান্ত হত্যা কী পরিমাণ ছিল, আর এখন কোন পর্যায়ে আছে। সেই পরিসংখ্যান দেখার জন্য। তাদের (বিএনপি) আমলের যে পরিমাণ সীমান্ত হত্যা হতো, তার চেয়ে এখন অনেক কমেছে। সরকার চেষ্টা করছে সীমান্ত হত্যা একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার। সে জন্য আগামীকাল দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক হবে।


আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।