বিএনপির অপরাজনীতিতে গণতন্ত্রের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ও অপরাজনীতিতে দেশের চলমান উন্নয়নধারাই শুধু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশ।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই আলোচনা সভায় যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে গণতন্ত্র হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। তারা এখনো সেই ধারাবাহিকতাই চর্চা করে চলেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ আশা করেছিল, নির্বাচন ও আন্দোলনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তোষণ-পোষণ ত্যাগ করবে। কিন্তু তারা তা না করে উল্টো গাঁটছড়া বেঁধে আছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সখ্য রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সঙ্গে রসিকতা আর তামাশা ছাড়া কিছু নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেই হচ্ছে সহিংসতা আর সন্ত্রাস। জনগণ তাদের কর্মসূচিতে এখন ভীতসন্ত্রস্ত। বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরাও বাস পোড়ানোর ভয়ে তা বন্ধ করে দেন। অথচ বিএনপি দায় চাপায় সরকারের ওপর।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি এখন পুলিশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তা সত্য নয়। আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কোনো সভাতেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার পরও স্থানীয়ভাবে তাদের দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্যসচিব সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার প্রমুখ।

এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা।