বিএনপির নেতৃত্বের ওপর দলের কর্মীরা আস্থা হারিয়েছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অতিকেন্দ্রিকতা, অদূরদর্শিতা এবং দোদুল্যমানতার কারণেই বিএনপির নেতৃত্বের ওপর দলের কর্মীরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। এর প্রমাণ তাঁদের দেওয়া তালিকাভুক্ত এজেন্টরা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে আসেন না, মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ করে রাখেন।

আজ বুধবার সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে, সে জন্য তারা ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে ভোট বর্জনের নাটক করে সরে দাঁড়ায়। এসব অপকৌশল করে ভরাডুবি বুঝতে পেরে আর নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার অপকৌশল জনগণ ধরে ফেলেছে। এ জন্য এজেন্ট দেওয়ার লোকও তারা এখন খুঁজে পায় না। উল্টো দোষ চাপায় এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলছেন। আমি বিএনপিকে তাদের সময়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। সে সময়ে নির্বাচন মানেই ছিল সংঘাত আর প্রাণহানি। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ঘটেছে অসংখ্য জীবনহানির ঘটনা।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন নেই নির্বাচনী সংঘাত। দু–একটি সংঘাত ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপনির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের বিষয় নেই, তাই জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোটার উপস্থিতি ঘটে না। অনেকে করোনার কারণেও আসে না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সহযোগী সংগঠনগুলোর ঘোষিত কমিটির বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ-আপত্তি দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আইনি কাঠামোর মধ্যে সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিটির কোনো বিষয়ে অভিযোগ কিংবা আপত্তি থাকলে প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের কাঠামোর আওতায়। অভিযোগ থাকলে নেতা-কর্মীরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ–সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিতে পারে। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে নিষ্পত্তি করবে। তাই দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ঘোষিত কমিটির বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ-আপত্তি দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আইনি কাঠামোর মধ্যে সুরাহার নির্দেশনা নিয়েছেন।’

অচিরেই জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন যাচাই–বাছাই চলছে।