বিএনপির পরিকল্পিত লকডাউনটা কী, জানতে চান তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

বিএনপির পরিকল্পিত লকডাউনটা কী, তা জানতে চেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, লকডাউন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। লকডাউন দেওয়ার আগে তারা বলেছিল দেশে কঠোর লকডাউন দেওয়া দরকার। আবার লকডাউন দেওয়ার পর বলছে এই লকডাউন অপরিকল্পিত। তাহলে তাদের পরিকল্পিত লকডাউনটা কী, সেটার প্রেসক্রিপশন তারা দিক।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকেরা লকডাউন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির পরিকল্পিত লকডাউনটা কী! সেটা ২০১৩-১৪-১৫ সালে ১৫৮ দিন মানুষকে বন্দী করে রাখার মতো কি না, লকডাউন নিয়ে বিএনপির লাগাতার সমালোচনার জবাবে এ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আজ প্রায় দেড় বছর করোনা পরিস্থিতি। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষের দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেনি। সরকার ও আমাদের দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক তৎপরতার কারণে মানুষের মধ্যে কোনো হাহাকার নেই। সাময়িক অসুবিধা যে হচ্ছে না, তা নয়। অবশ্যই অনেকের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। তবে এ অসুবিধা সাময়িক। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাহলে লকডাউন বিলম্বিত করতে হবে না।

এখন গ্রামাঞ্চলেও করোনা ছড়িয়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি মানুষের মধ্যে করোনার শুরুতে যে ধরনের ভীতি ছিল, সেই ভীতিটা নেই। দীর্ঘ এক বছর গ্রামে করোনা না ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের মানুষের মধ্যে একটি ধারণা জন্মেছিল গ্রামে কখনো করোনা আসবে না। কিন্তু আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, শহরের হাসপাতালগুলোতে যে রোগীরা ভর্তি হচ্ছে, তার ৭০ ভাগ গ্রাম থেকে আসছে।’

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আবারও অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, নিজের সুরক্ষার জন্যই লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন।

মির্জা ফখরুলের ‘সরকার দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে, বিএনপি কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে’ এ বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে হিংসার রাজনীতি বিশেষ করে ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে মানুষকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা, বহু মানুষকে ঝলসে দেওয়া, বহু মানুষকে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল, এটি বাংলাদেশে আগে কেউ কখনো দেখেনি। পৃথিবীতেও সমসাময়িককালে রাজনীতির জন্য এভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কেউ দেখেনি।’
এখন এই লকডাউনের মধ্যে যদি কেউ ফৌজদারি মামলার আসামি হন, তিনি যদি কোনো দল করেন, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না? প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা ফৌজদারি অপরাধের আসামির পক্ষ কেন নেন।

কোনো রাজনীতিবিদও যদি ফৌজদারি মামলার আসামি হন, আইন এবং আদালত তো তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন। আইন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সংশ্লেষ নেই।’