বিএনপির রাজনীতি কচ্ছপের মতো: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

বিএনপির রাজনীতিকে কচ্ছপের সঙ্গে তুলনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তারা (বিএনপি) একবার মাথা বের করে, পরক্ষণেই আবার মাথা লুকিয়ে নেয়।

আজ রোববার ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন আসে বলে মন্তব্য করেন কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকায় দেখতে চায় সরকার।

সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে চায়—দলটির এমন অভিযোগের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিএনপির অভিযোগকে অবান্তর আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণও চায় বিএনপি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াক। জনগণ চায়, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় রাজনীতি করুক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে বলেই তারা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগেই হেরে যায়।

সরকার নাকি আদালতকে ব্যবহার করছে—বিএনপির নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না।

বিএনপিই আইন-আদালত ঘিরে দ্বিচারিতার আশ্রয় নেয় বলে পাল্টা অভিযোগ করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়েছিল বলেই সমগ্র বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাহলে তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যায়নি কেন?’

সেতুমন্ত্রী বলেন, একদলীয় কোনো চর্চা সরকারের কাজে ও মনস্তত্ত্বে নেই। সরকার জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। সমৃদ্ধ আগামী গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দায়িত্বশীল বিরোধী দল দেশে দরকার আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ আগুনে যারা পোড়ায়, সন্ত্রাসনির্ভরতা যাদের আন্দোলনের চালিকা শক্তি, তাদের হাত থেকে জনগণের প্রাণ ও সম্পদের সুরক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আন্দোলন আর সন্ত্রাস এক কথা নয়। প্রতিবাদ আর সহিংসতা এক কথা নয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি টিভির করোনাকালে ও করোনাপরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির হালচাল নিয়ে করা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলা করে আর্থসামাজিক অবস্থা ধরে রেখে বসবাসের উপযোগী ধারা বজায় রাখতে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সহনশীলতা র‌্যাঙ্কিংয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে।

সরকারের এই উন্নয়ন ও অর্জনের সংবাদ বিএনপি চোখে দেখে না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।