বেড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিকে দল থেকে বহিষ্কার

পাবনার বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেড়া পৌরসভার মেয়র মো. আবদুল বাতেনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। আবদুল বাতেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হক টুকুর ভাই।

সোমবার রাতে ত্রাণের ২২৯ বস্তা চালসহ উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী গ্রেপ্তার হন। আবদুল বাতেন তাঁকে সমর্থন দিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক এই বহিষ্কার আদেশে স্বাক্ষর করেন। এ–সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময়ে দলীয় প্রধান নেতা-কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যেই বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপির চেয়ারম্যান কোরবান আলী ত্রাণের ২২৯ বস্তা চালসহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর থেকে কোরবান আলীর সমর্থনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিভিন্ন মহলে তদবির করেছিলেন। কোরবান আলী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে প্রমাণ করে তাঁকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মহামারির সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের মানুষকে ভালো রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই সময়ে চাল চুরির মতো অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। ফলে দলীয় প্রধানের নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ করলে কেউ ছাড় পাবেন না।’

কোরবান আলী নিজ ইউনিয়নের পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী মাশুমদিয়া ইউনিয়নের বাঁধের হাটে ত্রাণের ২২৯ বস্তা চাল সংরক্ষণ করে আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন। সোমবার রাতে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে চালসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।