ভাষাসৈনিকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা
মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষাসৈনিকদের ভাষা বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। পাশাপাশি সারা বছর শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষাসহ ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্থানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষাসৈনিক মতিনের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী ও রওশন আরা বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁদের প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন ও রওশন আরা বাচ্চুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, মায়ের ভাষার অধিকার এবং সম্মান রক্ষায় যাঁরা ভাষা আন্দোলন করেছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে না পারা রাষ্ট্র ও শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং ভাষাশহীদদের অবদানকে তুলে ধরতেই তাঁদের স্বীকৃতি প্রয়োজন।
ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। ভাষা আন্দোলনের পরিপূর্ণ ইতিহাস এখন পর্যন্ত লেখা হয়নি।
বিচ্ছিন্নভাবে আছে। একটি অধিকতর পরিপূর্ণ ইতিহাস রচনায় একটি জাতীয় কমিশন করা প্রয়োজন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে উপেক্ষা করলে জাতির মধ্যে অস্তিত্বহীনতা তৈরি হবে। সে জন্যই এর পরিপূর্ণ ইতিহাস দরকার। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি করে গেজেট প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘অনেক ভাষাসৈনিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকে মারা গেছেন। স্বীকৃতি-সম্মান তো দূরে থাক, রাষ্ট্র তাঁদের কোনো খোঁজ রাখেনি। ভাষা আন্দোলন আমাদের গৌরবের ইতিহাস হলেও রাষ্ট্রের এ দায়িত্বহীনতা অত্যন্ত দুঃখের এবং অগৌরবের। গৌরবের ইতিহাসে অগৌরব-অমর্যাদা থাকতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া প্রমুখ।