ভোটের সময় মনে রাখতে হবে কারা ঘর দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী  

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অন্ন ও বস্ত্রের সমস্যার সমাধান অনেক আগেই করেছেন। এখন গৃহহীনদের মাথা গোঁজার জন্য ঠাঁই করে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না। ৭০ হাজার পরিবারের কাছে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তরের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগোচ্ছে সরকার।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণের ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা যাঁরা ঘর পেয়েছেন, তাঁরা কখনো চিন্তা করেননি জমিসহ এ রকম একটি ঘর পাবেন, কিন্তু তাঁরা ঘর পেয়েছেন। এটি কোন সরকার দিয়েছে, সেটি মনে রাখতে হবে। এটি দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার, এটি দেশের সব ধরনের ভোটের সময়ও মনে রাখতে হবে। ভোটের সময় আসলে অনেক রকমের দল আপনাদের সামনে হাজির হবে, তাদের বলতে হবে কখনো আমাদের খবর নাওনি, বদমাইশরা আবার এসেছ ধোঁকা দিতে, এমন করে তাদের জবাব দিতে হবে।’ তিনি বলেন, যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকেন, এখন যে গৃহহীনরা ঘর পেয়েছেন, তা অন্যরা ক্ষমতায় এলে কেড়ে নেবে।

নৌকা মার্কার সরকার ক্ষমতায় না থাকলে অন্য কাউকেও এভাবে আর কেউ ঘর করে দেবে না।

তথ্যমন্ত্রী নিজের নির্বাচনী এলাকায় নিজের ও দলের নেতাদের অর্থায়নে এ ধরনের কমপক্ষে ৫০টি ঘর করে দেবেন বলে জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন, এরপরও কিছু কিছু ভিক্ষুক আছে। তবে শুধু ভিক্ষুক যে বাংলাদেশে আছে তা নয়, অনেক দেশে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ভিক্ষুক আছে। বাংলাদেশে যদি কেউ ভিক্ষুককে এখন ২ টাকা দেয়, ভিক্ষুক তাকে দুইটা গালি দেবে। ৫ টাকা দিলে আপাদমস্তক তাকিয়ে দেখবে, মানুষটা কেমন।

লাল রঙের ১০ টাকার নোট দিলে মোটামুটি খুশি হবে, তবে পুরোপুরি না। এই হচ্ছে আজকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো ছেঁড়া কাপড় পরা ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। আগে দেশে বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড় আসত, সেগুলো ধোলাই করে হকার্স মার্কেটে বিক্রি হতো। সেগুলো কিনে, পরে সাহেব সাজার চেষ্টা করতাম। আর এখন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি হয়, আর সেগুলো বিদেশের বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয় এবং সেগুলো পরে সেখানকার সাহেবরা তাদের সাহেবগিরি ঠিক রাখে, অর্থাৎ পরিস্থিতি এখন উল্টে গেছে।