‘মন থেকে’ নির্বাচনে ইভিএম চায় আওয়ামী লীগ

ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল আজ নির্বাচন কমিশনে যায়
ছবি: সাজিদ হোসেন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার চায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইভিএমবিষয়ক তৃতীয় ও শেষ ধাপের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ইসি।

আজকের সভায় আওয়ামী লীগের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এর নেতৃত্ব দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই ইভিএম চাই। মন থেকে চাই, চেতনা থেকে চাই।’

ইসি কি ৩০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করতে সক্ষম—এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা তাদের এখতিয়ার।’

মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ইভিএম পদ্ধতির পক্ষে। ইসির এখন দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে, যা মোট ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করতে পারবে। অর্থাৎ ৩১ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএম দিয়ে ভোট করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে ইভিএমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ মনে করে, ইভিএমসহ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে সব কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বেড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএমের কারণে জালিয়াতি ও ভোট চুরি বন্ধ হয়েছে।’

দেশের ইভিএম পদ্ধতি জনগণের কাছে জনপ্রিয় ও সবার ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যে ইসিকে এখন থেকেই প্রচার–প্রচারণার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ভূমিকা পালনের বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে।

নির্বাচন পরিচালনার জন্য বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পরিবর্তে কেবল প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করার দাবিও জানায় আওয়ামী লীগ।

আজকের শেষ ধাপের মতবিনিময় সভায় মোট ১৪টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তার ম্যধে ১০টি দল সভায় অংশ নেয়। দলগুলো হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), গণতন্ত্রী পাটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) ও গণফোরাম।

আজকের মতবিনিময় সভা বর্জন করা দল চারটি হলো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।