মানুষ কি এখন স্বৈরাচার নিপাত যাক স্লোগান দিতে পারে: জি এম কাদের

গাজীপুর মহানগর জাপার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জি এম কাদের।
ছবি: সংগৃহীত

দেশে এখন সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনকালে গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে মানুষ স্লোগান দিতে পেরেছে। দেশের মানুষ এখন কি স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্লোগান দিতে পারে?

আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে গাজীপুর মহানগর জাপার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, দেশে এখন আর সুশাসন নেই। সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্রচর্চা সম্ভব নয়।

জাপার চেয়ারম্যান বলেন, এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আর জায়গা নেই। এত নেতা-কর্মীর সংকুলান হচ্ছে না আওয়ামী লীগে। কেউ ইচ্ছা করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছেন না।

আবার বিএনপির অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। বিএনপিতে চরম নেতৃত্বসংকট চলছে। দেশের মানুষ বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। এ অবস্থায় দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান মানুষের সামনে জাতীয় পার্টি হচ্ছে রাজনীতির একমাত্র বিকল্প শক্তি। মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছেন।

সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ১৯৯১ সালের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে কথা রাখেনি। দল দুটি দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি না করলে কেউ চাকরি পান না। ক্ষমতাসীন দল না করলে কেউ ব্যবসা করতে পারেন না।

জি এম কাদের আরও বলেন, দেশের পরিবহন সেক্টর কে নিয়ন্ত্রণ করছে, তা কেউ জানেন না। কিছু সমিতি ও ইউনিয়ন পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছে। সরকারের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছেন পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে। তাই গণপরিবহনে নৈরাজ্য কমছে না।

জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব৵ দেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক; প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন ও আবদুস সাত্তার মিয়া; চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের; জাপার যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন; দলের গাজীপুর মহানগর কমিটির সদস্যসচিব মোশারাফ হোসেন প্রমুখ।