‘মানুষ ভোট দিতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না’

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক শোকসভা। ২৯ জানুয়ারি
ছবি: প্রথম আলো

নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা যে গণতন্ত্রের স্বপ্ন নিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। দেশে আজ গণতন্ত্র আছে ঠিকই কিন্তু তা নামমাত্র। মানুষ ভোট দিতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না। তাই গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক শোকসভায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা প্রয়াত আবদুস সাত্তার খানের স্মরণে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুস সাত্তার খান গত ১৩ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি ক্যানসারেও আক্রান্ত ছিলেন।

স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হক প্রধান বলেন, সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠনের উদ্দেশ্য ছিল যাতে জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পায়। যাতে সবাই ভোট দিতি পারেন। যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছাত্রনেতারা জীবন উৎসর্গ করার সংগ্রাম করেছিলেন, তা পূরণ হয়নি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের তৎকালীন সভাপতি বেলাল চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করলেও বাস্তবে বিজয় সাধারণ মানুষের হাতছাড়া হয়ে গেছে। দেশে এখন লুটপাটের মহোৎসব চলছে।

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর আদর্শবাদী দলগুলো ভেঙে খণ্ড খণ্ড হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন জাসদ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শফি আহমেদ। তিনি বলেন, তারা পথ দেখাতে পারত। কিন্তু নিজেরাই হারিয়ে গেছে।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শুধু ঢাকায় নয়, দেশের প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে অনেক মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। তাঁরা নির্যাতিত ও নিপীড়িত ব্যক্তিদের তালিকা করার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তৎকালীন ছাত্র মৈত্রীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুম মুনির, বিপ্লবী ছাত্র সংঘের আহ্বায়ক মুখলেস উদ্দিন, জাতীয় ছাত্রদলের সভাপতি মনজুরুল হক প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্র সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ।