মেধাবীরা না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হবে: কাদের

ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাঁরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। চরিত্রবানেরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাত চলে যাবে।

‘হিজবুল বাহারে’ বিহারের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সে অপরাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি ও লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন।

সেতুমন্ত্রী আজ শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘কর্মজীবনের কর্মশালা: তরুণদের কর্মদক্ষতা ও কর্ম-পরিকল্পনা উন্নয়নবিষয়ক কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

ছাত্ররাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যাঁরা এখনো তরুণদের পেট্রলবোমা, আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছেন, তাঁদের এসব নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তারুণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা–সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার ও ক্রীড়াচর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ নির্মাণের কাজ করছেন।

জাতি লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ আজ আলোয় ঝলমল করছে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এ দেশের উন্নয়ন ও ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিল কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সে বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারায় দেশের প্রতিটি জনপদ আজ আলোয় ঝলমল করছে।

জাতি আজ লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সেবা খাত। বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ–সুবিধা এখন বিশ্বমানের।

মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশসংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রযুক্তি যেমন বদলে দিয়েছে, তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে, একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে, অন্যদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা দিতে হবে।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এসব বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের দেওয়া সুযোগ–সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ও ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ।
শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা ‘সিআরআই’–এর সদস্যরা।