যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারাই কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারাই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, কথায় কথায় দেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র করতে চায়, তারা তো বিএনপি জোটের মধ্যে আছে। বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছেন, যাঁরা এই দেশটাই চাননি। যারা এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারাই কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।’

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনা নিশ্চয়ই বের হবে, দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে। কী উদ্দেশ্যে এটি ভিডিও করে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা খুবই স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি আছে। দেশ করোনা মহামারির মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে। মহামারিও নিয়ন্ত্রণে আসছে। তাই তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি। সে কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী মিলেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম। আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯২তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ সর্বনিম্ন। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও কৃষকবান্ধব নানা কর্মসূচির কারণে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে। এ ছাড়া ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় ও চতুর্থের মধ্যে ওঠানামা করে এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম।

আইনের শাসন সূচকেও বাংলাদেশ এগিয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনার মাধ্যমে কাজ শাণিত হয়, কাজ শুদ্ধ হয়; সেটি আমরা চাই। কিন্তু যাঁরা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন, তাঁরা সরকারের নেতৃত্বে এই অর্জনের পর কি সরকারকে অভিনন্দন জানাবেন, এটি আমার প্রশ্ন।’