যুক্তরাষ্ট্রের এক নিষেধাজ্ঞায় ক্রসফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে: হাফিজ উদ্দিন

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বুধবার প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় দেশে ক্রসফায়ার (বন্দুকযুদ্ধ) বন্ধ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের ওপর স্বতন্ত্র অবরোধ আসতে পারে।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) এক প্রতিবাদ সভায় হাফিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন। বিএনপির অসুস্থ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে ‘রাজবন্দীদের মুক্তি দাও’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় আলেম–ওলামা, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, নবীন–প্রবীণসহ সব শ্রেণি–পেশার মানুষকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গণ–আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই সরকার কিন্তু দুর্বল সরকার। দেখেন, এক স্যাঙ্কশনেই (নিষেধাজ্ঞা) ক্রসফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীর অনেক বড় বড় মানুষ এ রকম আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। তাঁদের কারও কারও বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছে। এ কারণে দেশের বাইরে তাঁরা কোথাও যেতে পারেননি। সামনের দিনে এমনও হতে পারে, বাংলাদেশে এখন যারা ক্ষমতাসীন দল, তাদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের স্বতন্ত্র নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। আর সেটি হলে দেশের বাইরেও যেতে পারবে না তারা।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা যেটা দেখেছেন, সেটা তো সবে শুরু। এটা ট্রেলার (প্রাথমিক চিত্র), পিকচার (পরবর্তী ঘটনা) এখনো বাকি।’ ক্রসফায়ারের নির্দেশ প্রদানকারীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

‘প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগে’ তিন বছর আগে থেকেই সার্চ কমিটির সদস্য ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম আছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিসের সার্চ কমিটির অপেক্ষায় আছেন আপনারা? কে কে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য হবেন, সবকিছু তাঁর প্রি–অ্যারেঞ্জ (আগেই প্রস্তুত)। এগুলো শুধু লোক দেখানো নাটক।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের। সভায় আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরাম (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবীব ও চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন আবদুল্লাহ জাফরী প্রমুখ।