যুব-ছাত্র অধিকার পরিষদের ৬জনসহ ৭ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলার অভিযোগে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত যুব অধিকার পরিষদের গ্রেপ্তার সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

সাত আসামি হলেন যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, নগর ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মো. ইমন, কর্মী ইয়ার মোহাম্মদ, হাবিবুল্লাহ ও নগরের বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজনের বয়স কম হওয়ায় তাদের রিমান্ড শুনানি হয়নি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৫ অক্টোবর দুপুরে নগরের আন্দরকিল্লা জে এম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলা, ফটকের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও মণ্ডপে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে। এখন পর্যন্ত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার পাশাপাশি তোরণ-ব্যানার ভাঙচুর করেন। পূজা ঘিরে সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে তাঁরা এ কাজ করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে।

পুলিশের অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুব-ছাত্র অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম নগরের কয়েকজন নেতাকে কল করা হয়, তবে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁদের অফিশিয়াল একটি মুঠোফোনে কল করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। ঘটনার দিন জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের নিয়ে তাঁরাই মিছিল বের করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন যে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তাঁরা পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার ভাঙচুর করেন। আসামিদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।