রাজনীতির মাঠে খেলছেন আমলারা, রাজনীতিবিদেরা সাইড লাইনে

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের
ফাইল ছবি

রাজনীতির মাঠে এখন আর রাজনীতিবিদেরা নেই বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের । তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে খেলছেন আমলারা। রাজনীতিবিদেরা সাইড লাইনে বসে খেলা দেখছেন।’

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে দলের খুলনা বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জি এম কাদের।

জাপার এই নেতা বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক হচ্ছেন জনগণ। তাঁদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরই দেশ পরিচালনা করার কথা। কিন্তু কাজকর্মে এমপি সাহেবদের খবরই নেই, আর সচিব সাহেবেরা সব কাজ করেন, মন্ত্রী মহোদয়েরা শুধু জানতে চান।’

কাদেরের ভাষ্য, জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের দুঃখ-কষ্ট সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তাঁরাই জনগণের বেশি উপকার করতে পারেন। আবার আমলারা হচ্ছেন রোবটের মতো, তাঁরা একটি গণ্ডির ভেতরে কাজ করতে অভ্যস্ত। আমলারা রাজনীতিবিদদের মতো সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন না।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মূল্য দিন। জনপ্রতিনিধিরা সুযোগ পেলে দেশের মানুষের অনেক বেশি উপকার হবে। জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করে আমলাদের দিয়ে দেশ পরিচালনা কখনোই মঙ্গলজনক হবে না বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় এই উপনেতা।

জাতীয় পার্টির খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এখনো চলন্ত বাসে নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। নারী ও শিশু নির্যাতন অনেক দিন ধরেই চলছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।

জিয়াউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, করোনার প্রকোপ বাড়ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কোনো চিকিৎসা নেই। সংবিধান স্বীকৃত অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। প্রচণ্ড শীতে একটি কম্বলের জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার উঠেছে। আবার কেউ কেউ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন।

বৈষম্যের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেননি উল্লেখ করে এই নেতা বিদেশে টাকা পাচারকারীদের পরিচয় প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, আবদুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের, মাহমুদুর রহমান, নাজনিন সুলতানা, যুগ্ম মহাসচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন , হুমায়ুন খান, জহিরুল হক, সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমুখ।