রাজনৈতিক হাতিয়ার হবেন না, মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হতে মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সরকার যেকোনো নৈরাজ্য দমন করতে বদ্ধপরিকর।

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস পালন না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে অজুহাত বানিয়ে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ ও আগুন দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কোমলমতি শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, রাজনৈতিক হাঙ্গামার মধ্যে ঠেলে তাদের দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া ন্যক্কারজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং দুষ্কৃতকারী মনোবৃত্তি।’

কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অনুরোধ জানাব, যেসব ব্যক্তি তাঁদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে আপনাদের ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে, ব্যবহার করছে, তাঁদের বর্জন করুন। তাঁদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না এবং শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করবেন না।’  

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দেখলাম স্বাধীনতা দিবসে এই হামলা ও হরতালে পরোক্ষভাবে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। আর জামায়াত সরাসরি সমর্থন দিয়েছে। অর্থাৎ এই নৈরাজ্যের পেছনে বিএনপি-জামায়াত যে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, সেটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খোলাসা করে দিয়েছেন।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ২০ জনের বিবৃতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিবৃতিটি দেখেছি। যে ২০ জন বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁদের বুদ্ধিজীবী বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে। কারণ, তাঁদের উচিত ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন যারা ধর্মের নামে হাঙ্গামা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া। কিন্তু তাঁরা সেটি না করে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া, ভূমি অফিস, রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়া, থানা ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণকারীদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এরপর তাঁরা আর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে নিজেদের দাবি করতে পারেন না। টেলিভিশনের পর্দায় গিয়ে তাঁরা সুশীল বলে দাবি করতে পারেন না। তাঁরা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে গেছেন। তাই তাঁদের বুদ্ধিজীবী বলতে লজ্জা হচ্ছে।’