সন্দেহ হলে রেজাল্ট শিট মিলিয়ে দেখতে পারেন: রিটার্নিং কর্মকর্তা

নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী
ছবি: আশরাফুল আলম

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ কারও মনে দেখা দিলে তাঁদের রেজাল্ট শিট মিলিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর যখন দুই মেয়র প্রার্থীর নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়, তখন বাকি ৪টি কেন্দ্রের ফলাফল আমি ঘোষণা করেছি। গন্ডগোলের কারণে হয়তো আপনারা তখন শুনতে পাননি।’

ওই ৪ কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সেগুলো হলো ৪২, ৭৮, ৭৯, ৯৭। এসব কেন্দ্রের ফলাফলের কাগজ দেখিয়ে তিনি এগুলোতে ঘষামাজা হয়েছে কি না, তা উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের দেখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টদের রেজাল্ট শিট দিয়ে আসা হয়েছে। কারও সন্দেহ হলে তাঁরা চাইলে কেন্দ্রের রেজাল্ট শিটের সঙ্গে আমাদের ঘোষণা দেওয়া রেজাল্ট শিট মিলিয়ে দেখতে পারেন।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহেদুন্নবী চৌধুরী এসব কথা বলেন।

ফলাফল ঘোষণার কেন্দ্রে গণজমায়েত করার সুযোগ দেওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না আর তা কমিশনের ব্যর্থতা কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখানে ব্যর্থতার কিছু দেখছি না, আমি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। তবে সাধারণত ফলাফল ঘোষণার সময় এ ধরনের জমায়েত করতে দেওয়া হয় না। তবে আমি চেয়েছি, যাঁরা ফলাফল ঘোষণা দেখতে চান, তাঁরা আসবেন, দেখবেন। যাতে কারও মনে কোনো প্রশ্ন না থাকে। কিন্তু সেখানে দুই প্রার্থীর লোকজন এসে মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার কারণেই ফলাফল ঘোষণায় দেরি হয়েছে। এটা আমাদের ইচ্ছাকৃত ছিল না।’

ফলাফল ঘোষণার সময় সেখানে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। একজন প্রার্থীর গায়ের ওপর অন্য প্রার্থীর সমর্থকেরা পড়ে গেল পুলিশের সামনে, এর দায় রিটার্নিং কর্মকর্তা নিচ্ছেন কি না? এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো ব্যর্থতা রয়েছে কি না জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘সেখানে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা কোন কৌশলে কাজ করবেন, সেটা তাঁরা জানেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

আরও পড়ুন

স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক অভিযোগ করেছেন, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হারানো হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, বিজয়ী প্রার্থী জোর করে জিতেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, ভোটাররা দিনভর তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ভোটাররা যেভাবে ভোট দিয়েছেন, সেভাবে ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন