স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হচ্ছে জনগণকে বাদ দিয়ে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে জনগণকে বাদ দিয়ে। বিদেশিদের এনে এখানে দেখানো হচ্ছে, বলানো হচ্ছে যে উন্নয়নের লহরি বয়ে যাচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খানকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতিমধ্যে তিনটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। আগামী ২৬ মার্চ বন্ধুদেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসবেন। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশি বন্ধুদের স্বাগত জানাই। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এ সরকার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে জনগণকে বাদ দিয়ে। জনগণ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, এই সুবর্ণজয়ন্তীর যে অনুষ্ঠানগুলো তারা করছে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অবস্থান নেই। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোরও কোনো অবস্থান নেই। শুধু বিদেশি মেহমানদের নিয়ে এসে এখানে দেখানো হচ্ছে, বলানো হচ্ছে যে উন্নয়নের লহরি বয়ে যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের জন্য আসছেন, নাকি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারণা করার লক্ষ্যে আসছেন।

পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকাগুলো, ভারতের, এমনকি বাংলাদেশের পত্রিকায় আমরা সে ধরনের ইঙ্গিতই পাচ্ছি। এই সফরে তিনি যেসব মন্দির পরিদর্শন করবেন, সেগুলোতে তাঁদের অনুসারীরা রয়েছেন। তাঁদের ভোট কাছে টানার চেষ্টা রয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, পরিস্থিতি কোনোমতেই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়। এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে আসছি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে হলে দুই দেশের অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। অভিন্ন যে নদীগুলো রয়েছে, তার হিস্যা চাওয়া উচিত, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত, কানেকটিভিটিতে আমার কী লাভ হচ্ছে, তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা খুবই অমানবিক। আমাদের দুই দেশের মধ্যে এত বন্ধুত্ব অথচ আমরা এটুকু সমাধান করতে পারি না কেন?’