হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল এখনো বন্ধ

হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান।
ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রামের হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে নতুন করে সড়কের দুটি স্থান খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের ওপর ইটের স্তূপ দিয়ে তৈরি দেয়াল এখনো রয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই এলাকায় মাদ্রাসার ছাত্রদের জড়ো হতে দেখা গেছে।

হেফাজত ইসলামের হরতালের মধ্যেও হাটহাজারী উপজেলার ভেতরের সড়কগুলোয় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম। ভোরে হাটহাজারী-রাঙামাটি সড়কের ইছাপুরে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা ব্যারিকেড দিলেও পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তা তুলে দেন।

গত শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে বন্ধ রয়েছে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়ক। সড়কের হাটহাজারী বাজার এলাকায় ইটের স্তূপ দিয়ে পাঁচ ফুট দেয়াল দিয়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা ভূমি অফিসের সামনের সড়ক খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। সড়কে আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে সিমেন্টের ইলেকট্রিক পিলার।

গতকাল শনিবার রাতে সড়কটির কাচারী রোডের মুখে দুটি অংশ খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। কাচারী রোডের মুখে বাঁশের ব্যারিকেডটি এখনো রয়েছে। রিকশাসহ কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।

সড়কটি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। দুপাশে আটকা রয়েছে মালবাহী ট্রাক। বিকল্প সড়ক দিয়ে লোকজনকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে দ্বিগুণ ভাড়া ও সময় লাগছে বেশি। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের।
ওই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত আড়াই শ র‍্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবির ১০০ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতা-কর্মী ও মুসল্লিদের একাংশের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে বিক্ষোভে নামেন হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ চারজন নিহত হন। পরে ছাত্ররা হাটহাজারী-নাজিরহাট সড়ক অবরোধ করেন। সেখানে অবস্থান নেন ছাত্ররা।

হেফাজত ইসলামের সহকারী অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছেন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, হাটহাজারীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন চলাচল সকালে কম থাকলেও আস্তে আস্তে বাড়ছে। হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়ক বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আস্তে আস্তে সড়কটি সচল করার চেষ্টা চলছে।’