বিপুল ব্যবধানে জয়ের প্রান্তে রেজাউল

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেশিরভাগ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। মোট ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে রাত ১টা পর্যন্ত ৬৯০টি কেন্দ্রের ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বড় ব্যবধানে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে গেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯০৫ ভোট।

এ ছাড়া মেয়র পদে আম প্রতীকে আবুল মনজুর ৪ হাজার ৪২৬ ভোট, মোমবাতি প্রতীকে এম এ মতিন ২ হাজার ৩৩ ভোট, হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী ৮৪৮ ভোট, চেয়ার প্রতীকে ওয়াহদ মুরাদ ১ হাজার ১৫ ভোট, হাতপাখা প্রতীকে জান্নাতুল ইসলাম ৪ হাজর ৫৮০ ভোট পেয়েছেন।

একজনের প্রাণহানি, দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভোট গ্রহণ স্থগিত, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে। কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের জেরে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে একের পর এক সংঘর্ষের খবর আসতে থাকে। বিএনপি অভিযোগ করে, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। আর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন
ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হলেন মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী হলেন শাহাদাত হোসেন। এ সিটি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২৩২ জন প্রার্থী। এবার ভোটারসংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬।

ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভালো নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নির্বাচনে সহিংসতার অনেক ঘটনা ঘটে। তবে চট্টগ্রামে কমই হয়েছে। দেশ উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটের প্রতি মানুষের অনীহাও বাড়ছে বলে মনে করেন সচিব।