'প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ঐক্য' গড়তে চাইছে ছাত্র ইউনিয়ন

আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করে ফেলেছে ছাত্র ইউনিয়ন। বাম ধারার ছয়টি ছাত্রসংগঠনের মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট, পাঁচটি সংগঠনের আরেক মোর্চা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আন্দোলনের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সদস্যদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার পরিকল্পনা সংগঠনটির।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সাংগঠনিক তৎপরতা ও দাবি তুলে ধরে ছাত্র ইউনিয়ন। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী। ডাকসুর আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে ছাত্র ইউনিয়ন।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নের চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে করা, ক্যাম্পাস ও হলে সব ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান এবং স্বাধীন মতের পরিবেশ নিশ্চিত করা, গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি উচ্ছেদ করে প্রথম বর্ষ থেকেই মেধা এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে আসন বণ্টন, শ্রেণিকক্ষে নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারে জাতীয় নেতাদের অংশগ্রহণের ওপর আরোপিত বাধা বাতিল করা।

লিখিত বক্তব্যে লিটন নন্দী বলেন, ‘ডাকসুর অনুপস্থিতিতে একদিকে মেধাভিত্তিক রাজনীতির বিপরীতে সন্ত্রাস ও পেশিশক্তিনির্ভর অপরাজনীতির বিকাশ ঘটেছে, অন্যদিকে জন্ম নিয়েছে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র। এর ফলে একের পর এক ছাত্রদের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং অপরাজনীতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনুগত দাস তৈরির কারখানার ভূমিকা নিয়েছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তবে ডাকসু নির্বাচন ও ডাকসুতে ছাত্রনেতাদের কার্যক্রম অবস্থার উন্নতি ঘটাবে বলে আমরা মনে করি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম জিলানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।